যশোর প্রতিনিধি: বেনাপোল কাস্টম হাউজের নতুন নিয়মের কারণে এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিভিন্ন কাঁচা ফল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানি করা ফলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আপেল, কমলা ও বেদানা। রবিবার (৪ অক্টোবর) সকাল থেকে এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সব ধরনের ফল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আটকে আছে বেশ কিছু ফল বোঝায় ট্রাক।
ফল আমদানিকারক বেনাপোলের রয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, ভারত থেকে ফল আমদানিতে নতুন নিয়ম চালু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ফলের সঙ্গে আসা কার্টুন বা পেটির ওজনেরও শুল্ক দিতে বলছে তারা। এ নিয়মে কাঁচা ফল আমদানিতে লোকসান হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ব্যবসায়ীরা। এ জন্য এ পথে ফল আমদানিতে অনিহা প্রকাশ করছেন আমদানিকারকরা। এদিকে, ভোমরা বন্দরে এ নিয়ম না থাকায় এবং টিয়ার সুবিধা পাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী পেট্রাপোল বন্দরে আসা কাঁচা ফলের ট্রাক ফিরিয়ে নিয়ে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি শুরু করছেন।
এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার সৈয়েদ নেয়ামুল হক জানান, কাস্টমস কোনও নতুন নির্দেশনা জারি করেনি। কিছু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত সুযোগ না পেয়ে ফল আমদানিতে অযুহাত দেখাচ্ছেন। কার্টুনের ওজন ও শুল্ক আরোপের বিষটি সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি। বেনাপোল আমদানি রফতানি-কারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে খাদ্যদ্রব জাতীয় কাঁচামাল থেকে বড় একটা রাজস্ব আসতো। বর্তমানে আমদানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, ‘প্রতিদিন ভারত থেকে ২০ থেকে ২৫ ট্রাক আপেল, আঙুর, বেদানা, কমলা, টমেটোসহ বিভিন্ন ফল আমদানি হয়ে থাকে। তবে ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ ঝামেলায় দিনভর কোনও ফলের ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। ব্যবসায়ীরা যদি ট্রাক প্রবেশ করান, তবে দ্রুত খালাসের সব ব্যবস্থা বন্দরে আছে।’